দাম্পত্য জীবন মধুর – দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু-আধটু অশান্তি হতেই পারে। তবে তা যদি নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয় তবেই সংসার এসে দাঁড়ায় ভাঙনের মুখে আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার। স্বামী-স্ত্রী যদি পরস্পরের প্রতি যত্নবান এবং দায়িত্বশীল হয়, এবং সর্বোপরি তারা যদি একে অপরকে বোঝে তাহলে এসব ঝামেলা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব। জেনে নিই দাম্পত্য জীবন সুখী করতে কোন অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা প্রয়োজন-
১. পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ:পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রত্যেক দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এই নয় যে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, তার পরিবারের প্রতি ও শ্রদ্ধা বোধ থাকতে হবে।সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার আচরণ কেমন হবে এটি একটি বড় ব্যাপার।
২. একে অন্যকে সঙ্গ দেওয়া:স্বামী-স্ত্রীর একে অপরকে সঙ্গ দেওয়ার উপকারিতা অনেক। এটি একজন আরেকজনের প্রতি মনোসংযোগ এবং নির্ভশীলতা বাড়ায়। কিন্তু যদি আপনি সঙ্গী কে সময় না দেন তখন মানসিক সমর্থনের অভাবে ধীরে ধীরে সঙ্গীর উপর চাপ বাড়তে থাকে এবং মানসিক ভাবে একে অপরের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর ফলে সম্পর্কে অবনতি হয়।
৩. সঙ্গীর মন ভালো রাখা:সঙ্গীর মেজাজকে ভালো রাখতে মজার কোনো কাজ করতে পারেন। তার সঙ্গে গল্প করুন, সময় কাটান, তাকে পাশে থাকার আশ্বাস দিন। এটা আপনার সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে। তবে একথা ও মাথায় রাখতে হবে, নিজের খুশি থাকার জন্য সঙ্গীর উপর নির্ভর করা উচিত না।
৪.ভালো মুহূর্ত উপভোগ:একে অন্যের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান। দীর্ঘ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন। একে অন্যের আগ্রহের প্রতি ওয়াকিবহাল হোন। এর ফলে হ্যাপি হরমোন বা লাভ হরমোন ডোপামিন নিঃসরণ হয়ে মানসিক চাপ কমবে।
৫.কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:সফল এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি সঙ্গী কে ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। তাই যেকোনো ভালো কাজের জন্য একে অন্যকে ধন্যবাদ বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সমীক্ষায় দেখা গেছে,যারা সঙ্গীদের ধন্যবাদ জানান, তার কাজের প্রশংসা করেন তাদের দাম্পত্য জীবন অনেক সুখী এবং আনন্দময়।